

এডভোকেট মোহাম্মদ শারীদ
ফেনী জেলা ও দায়রা জজ আদালতের একজন অভিজ্ঞ আইনজীবী এবং কার্যনির্বাহী সদস্য, ফেনী জেলা কর আইনজীবী সমিতি। ফৌজদারি, সিভিল, ও কর আইনে দক্ষতার সঙ্গে সেবা প্রদান করেন। বিশ্বস্ত, পেশাদার, এবং সমাধানমুখী আইন সেবার জন্য নির্ভরযোগ্য নাম
আমার সম্পর্কে:
আমি এডভোকেট মোহাম্মদ শারীদ, একজন অভিজ্ঞ এবং নিবেদিত আইনজীবী। আমার লক্ষ্য হল আমার মক্কেলদের সর্বোচ্চ মানের আইনি সেবা প্রদান করা এবং তাদের অধিকার রক্ষায় সবসময় পাশে থাকা। আইন পেশায় দীর্ঘদিনের অভিজ্ঞতার মাধ্যমে আমি আয়কর, ফৌজদারি, সিভিল, পারিবারিক, এবং কর্পোরেট আইনের বিভিন্ন ক্ষেত্রে সাফল্যের সাথে কাজ করে আসছি।
আইনজীবী হিসেবে আমার বিশ্বাস, প্রতিটি মানুষ তার ন্যায্য অধিকার পাওয়ার যোগ্য। আমি আমার মক্কেলদের সমস্যাগুলো গভীরভাবে বুঝে, তাদের জন্য সঠিক সমাধান এবং ন্যায্য বিচার নিশ্চিত করার চেষ্টা করি।
সেবাসমূহ
- রিট মামলা দায়ের এবং নিষ্পত্তি
- কোর্ট ম্যারেজ এবং তালাক
- ফৌজদারি মামলা এবং জামিন
- দেওয়ানী মামলা দায়ের, ইনজাংশন এবং নিষ্পত্তি
- নারী ও শিশু নির্যাতন মামলা
- ট্যাক্স ফাইলিং এবং আয়কর সমস্যার সমাধান
- কোম্পানি রেজিস্ট্রেশন এবং লিকুইডেশন
- আইনগত পরামর্শ এবং চেক প্রতারণা মামলা
-
আইনি পরামর্শ প্রদান
100 % -
মামলা পরিচালনা
100% -
চুক্তি প্রস্তত ও যাচাই
100 % -
আইনগত গবেষণা ইত্যাদি
100 %
-
আইনি পরামর্শ প্রদান
মক্কেলদের বিভিন্ন ব্যক্তিগত, ব্যবসায়িক বা সামাজিক সমস্যা সমাধানের জন্য সঠিক আইনি দিকনির্দেশনা দেওয়া।
-
আদালতের প্রক্রিয়া অনুসরণ
আদালতের নিয়ম অনুযায়ী মামলা পরিচালনা করা, প্রয়োজনীয় নথি দাখিল করা এবং বিচার কার্যক্রমে সক্রিয় অংশগ্রহণ করা।
-
মামলা পরিচালনা
মক্কেলদের পক্ষে আদালতে মামলা দায়ের করা, শুনানি পরিচালনা করা এবং তাদের পক্ষে আইনগত যুক্তি উপস্থাপন করা।
-
চুক্তি প্রস্তুত ও যাচাই
বিভিন্ন চুক্তি, দলিল এবং আইনি নথি তৈরি করা এবং সেগুলোর যথার্থতা যাচাই করা।
জনগণের জন্য কিছু গুরুত্বপূর্ণ মেসেজ
নিজে সতর্ক থাকুন অন্যকে সতর্ক করুন।
-
কেসের বিবরণ
আয়কর ফাঁকি অপরাধ এবং শাস্তি
আয়কর ফাঁকি একটি গুরুতর আর্থিক অপরাধ, যা দেশের অর্থনীতি ও উন্নয়নে বিরূপ প্রভাব ফেলে। এটি আয়কর অধ্যাদেশ, ২০২৩ এর আওতায় শাস্তিযোগ্য অপরাধ।
অপরাধ :
আয়ের সঠিক তথ্য গোপন করা। ভুয়া তথ্য বা নথি জমা দেওয়া। কর প্রদানের সময় ইচ্ছাকৃত বিলম্ব করা। আয়কর কর্তৃপক্ষকে বিভ্রান্ত করা বা মিথ্যা ঘোষণা দেওয়া।
শাস্তি
জরিমানা: বকেয়া করের চেয়ে দ্বিগুণ অর্থদণ্ড।
কারাদণ্ড: সর্বোচ্চ ৫ বছর কারাদণ্ড।
উভয় শাস্তি: জরিমানা এবং কারাদণ্ড উভয়ই হতে পারে।
বার্তা আয়কর ফাঁকি শুধু আপনার বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা আনতে পারে না, এটি দেশের অর্থনৈতিক অগ্রগতিতে প্রতিবন্ধকতাও সৃষ্টি করে। আইন মেনে কর প্রদান করুন এবং দেশের উন্নয়নে আপনার দায়িত্ব পালন করুন। -
কেসের বিবরণ
জমি সংক্রান্ত মামলা , অপরাধ ও শাস্তি
জমি সংক্রান্ত জালিয়াতি ও বিরোধ দেশের আইনি ব্যবস্থায় একটি গুরুতর সমস্যা। এটি ভূমি আইন এবং ফৌজদারি আইনের আওতায় শাস্তিযোগ্য অপরাধ।
অপরাধ
ভুয়া দলিল তৈরি বা ব্যবহার করা। জমির প্রকৃত মালিকানা গোপন করা। অন্যের জমি জোরপূর্বক দখল করা। জমি কেনা-বেচার সময় ভুয়া তথ্য প্রদান করা।
শাস্তি
ভুয়া দলিল তৈরি বা ব্যবহারের জন্য: সর্বোচ্চ ৭ বছরের কারাদণ্ড এবং জরিমানা।
জমি জোরপূর্বক দখলের জন্য: জরিমানা, কারাদণ্ড (সর্বোচ্চ ৩ বছর), অথবা উভয়।
ক্ষতিপূরণ: প্রকৃত মালিকের ক্ষতিপূরণ দেওয়ার নির্দেশ।
বার্তা জমি সংক্রান্ত জালিয়াতি শুধু আইনি ঝুঁকি তৈরি করে না, এটি সামাজিক অস্থিরতাও সৃষ্টি করে। জমি ক্রয়-বিক্রয় বা মালিকানা নিয়ে সব সময় বৈধ নথিপত্র ব্যবহার করুন এবং আইন মেনে চলুন। -
কেসের বিবরণ
ঘুষ গ্রহণ বা প্রদান করলে শাস্তি
ঘুষ একটি সামাজিক ব্যাধি, যা নৈতিকতা নষ্ট করে এবং সমাজে অন্যায় ও দুর্নীতিকে প্রভাবিত করে। এটি বাংলাদেশ দুর্নীতি প্রতিরোধ আইন, ২০০৪ এর অধীনে শাস্তিযোগ্য অপরাধ।
অপরাধ:
কোনো সরকারি বা বেসরকারি কাজ সহজ করার জন্য অর্থ, উপহার বা সুবিধা গ্রহণ বা প্রদান করা। দায়িত্বের অপব্যবহার করে নিজের বা অন্য কারও জন্য অন্যায্য সুবিধা আদায় করা। ঘুষ দেওয়ার প্রস্তাব বা এটি নেওয়ার সম্মতি দেওয়া।
শাস্তি:
সর্বোচ্চ ৭ বছর কারাদণ্ড, জরিমানা, অথবা উভয় শাস্তি।
ঘুষের পরিণতি:
এটি সামাজিক ও অর্থনৈতিক উন্নয়নকে বাধাগ্রস্ত করে। যোগ্যতা ও ন্যায্যতার পরিপন্থী একটি সংস্কৃতির জন্ম দেয়। জনগণের আস্থা নষ্ট হয় এবং অন্যায়কারীদের উৎসাহিত করে।
বার্তা:
"ঘুষ বন্ধ করুন, ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠা করুন। ঘুষ গ্রহণ বা প্রদান করে শুধু নিজেকে নয়, গোটা সমাজকে ক্ষতিগ্রস্ত করবেন।" -
কেসের বিবরণ
নারী ও শিশু নির্যাতন করলে শাস্তি
নারী ও শিশু নির্যাতন একটি মারাত্মক অপরাধ, যা ব্যক্তি, পরিবার এবং সমাজের স্থিতিশীলতা নষ্ট করে। এটি নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইন, ২০০০ এর অধীনে শাস্তিযোগ্য অপরাধ।
অপরাধ:
শারীরিক বা মানসিকভাবে কোনো নারী বা শিশুকে নির্যাতন করা। যৌন হয়রানি, ধর্ষণ বা অপহরণের মাধ্যমে তাদের অধিকার হরণ করা। যৌতুকের জন্য নির্যাতন বা হত্যা করা।
শাস্তি:
শারীরিক নির্যাতন: সর্বোচ্চ ১৪ বছর কারাদণ্ড।
ধর্ষণ: মৃত্যুদণ্ড বা যাবজ্জীবন কারাদণ্ড।
যৌতুকের জন্য নির্যাতন: সর্বোচ্চ ৫ বছর কারাদণ্ড বা জরিমানা বা উভয়ই।
নারী ও শিশু নির্যাতনের প্রভাব: এটি ব্যক্তির শারীরিক ও মানসিক স্বাস্থ্যের ওপর গভীর ক্ষত সৃষ্টি করে। পরিবারে অশান্তি ও সামাজিক অবক্ষয় তৈরি করে। দেশের উন্নয়ন এবং শান্তি প্রতিষ্ঠার পথে বাধা হয়ে দাঁড়ায়।
বার্তা: "নারী ও শিশু নির্যাতন বন্ধ করুন। তারা সুরক্ষিত থাকলে সমাজ এগিয়ে যাবে। ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠায় সচেতন হন, অন্যায়ের বিরুদ্ধে আওয়াজ তুলুন।"